শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
বাংলাদেশী সেলসগার্লের বুদ্ধিমত্তায় রক্ষা পেল নিউইর্য়কে জুয়েলারি স্টোর

বাংলাদেশী সেলসগার্লের বুদ্ধিমত্তায় রক্ষা পেল নিউইর্য়কে জুয়েলারি স্টোর

erআমার সুরমা ডটকম ডেক্সবাংলাদেশী সেলসগার্লদের সাহসিকতায় রক্ষা পেল জুয়েলারি স্টোর। পালিয়ে গেল সশস্ত্র ডাকাতের দল। নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটে কুনাল জুয়েলারিতে ডাকাতেরা হানা দেয়। কিন্তু পুলিশ আসছে টের পেয়েই পলায়ন করে ডাকাতেরা। এ ঘটনায় পুলিশের ভুমিকার প্রশংসা করছেন ব্যবসায়ী-নেতারা। ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জুয়েলারি স্টোরটি বন্ধের প্রাক্কালে ২ ডাকাত ঢুকে অস্ত্রের মুখে নগদ অর্থসহ স্বর্ণের ক্যাবিনেটের চাবি চায়। বাংলাদেশী সেল্্্স গার্ল ভয় পেয়েছেন ভাব দেখিয়ে দৌড়ে স্টোরের ভেতরে ঢুকেন এবং সাইরেন এলার্ম বাজান। ডাকাতেরা বন্দুক উচিয়ে লম্ফ-ঝম্প করতে থাকে। পুুলিশ আসছে বুঝতে পেরেই বাইরে থাকা ডাকাতদের সহযোগীরা ইশারা দেয়া মাত্রই দৌড়ে পলায়নে সক্ষম হয় সকল ডাকাত। মিনিটখানেকের মধ্যেই দলে দলে পুলিশ আসে অকুস্থলে। ঘিরে ফেলে সারা এলাকা। পুলিশের গাড়ি এসে রাস্তাগুলো বন্ধ করার পাশাপাশি যেখানে যিনি যে অবস্থায় ছিলেন, সেভাবেই থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়। এ অবস্থায় নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ডাকাতের গুলিতে বাংলাদেশী সেল্্সগার্লসহ ভারতীয় মালিক নিহত হয়েছেন। এরপর পুলিশের অভিযানে ডাকাতেরাও ভ’পাতিত হয়েছে। ইত্যাদি গুজব সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ে। কারণ, ঐ জুয়েলারি স্টোরসহ আশাপাশের সকল স্টোরের কর্মচারির ৯৮% হলেন বাংলাদেশী। এছাড়া শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকও বাংলাদেশীরা। পুলিশের তৎপরতা চলে দেড় ঘন্টার মত। অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরছিল। তার মধ্যেই উদ্বিগ্ন আত্মীয়-স্বজন পরিচিতজনেরা পুলিশ বেষ্টনীর বাইরে অপেক্ষা করেন। সাড়ে ৮টায় পুলিশের বেরিকেড উঠিয়ে নেয়ার পর পরিস্থিতি ক্রমে শান্ত হয়। পুলিশ আসার আগেই ডাকাতেরা পলায়ন করায় কোন ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এমনকি ডাকাতেরা আদৌ কিছু নিয়ে গেছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি অভিযান পরিচালনাকারি পুলিশের দল। কারণ, ডাকাতের হানা দেয়ার দৃশ্য দেখে স্টোরের মালিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মোট ৬ বাংলাদেশী মহিলা এই স্টোরে কাজ করলেও বন্ধের সময় ছিলেন মাত্র দু’জন। তারা সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সাইরেন এলার্ম বাজানোর মিনিট দুয়েকের মধ্যেই টহল পুলিশেরা এলাকা ঘিরে ফেলায় ডাকাতীসহ হতাহত এড়ানো সম্ভব হয় বলে মনে করছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। জ্যাকসন হাইটসের সবচেয়ে পুরনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মান্নান সুপার মার্কেটের মালিক সাঈদ রহমান মান্নান এনআরবি নিউজকে বলেন, ‘পুলিশী তৎপরতা আরোন বাড়াতে হবে। জ্যাকসন হাইটসকে এখন অনেকেই ডায়মন্ড ডিস্ট্রিক্ট হিসেবে মনে করছেন। তাই নিরাপত্তায়ও মনোযোগী হতে হবে সিটি প্রশাসনকে।’ জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশনের সভাপতি জাকারিয়া মাসুযদ জিকো বলেন, এমন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সকলকেই ভীত সন্ত্রস্ত করে তোলে। তবে পুলিশের ভ’মিকা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। আশা করছি, এ এলাকার ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণের নিরাপত্তায় পুলিশসহ সকল বাহিনী আরো সজাগ থাকবে। এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com